এশিয়ার বিশেষ অঞ্চল
পৃথিবীর বিভিন্ন বিশেষ অঞ্চল
হস্তান্তরিত কয়েকটি অঞ্চল
কয়েকটি বিখ্যাত দ্বীপ/অঞ্চল
'Seven Sisters' বা সাত বোন বলতে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যকে বোঝানো হয়, যা তাদের ভৌগোলিক, ঐতিহাসিক, এবং সাংস্কৃতিক সাদৃশ্যের কারণে এই নামে পরিচিত হয়েছে।
উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম ও মেঘালয় এই সাত পার্শ্ববর্তী রাজ্য একত্রে সপ্তভগিনী রাজ্য, সাত বোন রাজ্য বা সেভেন সিস্টার্স নামেও পরিচিত। এই সাত রাজ্যের মধ্যে জাতিগত ও ধর্মীয় বৈচিত্র্য থাকা সত্ত্বেও অনেক আগে থেকেই এরা রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে সদৃশ ।
এই সাতটি রাজ্য ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস এবং বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। এবার প্রতিটি রাজ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক:
উপসংহার: 'Seven Sisters' (সাত বোন) নামকরণটি শুধু ভৌগোলিক অবস্থান দ্বারা নয়, বরং এই সাতটি রাজ্যের সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং অর্থনৈতিক সংযোগের প্রতিফলন। তারা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অপরিহার্য অংশ এবং তাদের বৈচিত্র্যময়তা ভারতের ঐক্যের প্রতীক। এই অঞ্চলের সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য, সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, এবং ইতিহাস এটি দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় অঞ্চল করে তুলেছে।
বাংলাদেশে 'Seven Sisters' বা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য নিয়ে আলোচনার কয়েকটি প্রধান কারণ রয়েছে:
এই কারণগুলির মাধ্যমে বোঝা যায় কেন বাংলাদেশে 'Seven Sisters' (সাত বোন) নিয়ে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ।
রুপকথার সাত বোন
ভারতের সাতটি অঙ্গরাজ্য
সার্কভুক্ত সাতটি দেশ
সাতটি দেশ
ইস্ট এশিয়ান মিরাকল দেশ ৮টি। যথা: ১. জাপান ২. সিঙ্গাপুর ৩. তাইওয়ান ৪. দক্ষিণ কোরিয়া ৫. হংকং ৬. থাইল্যান্ড ৭.মালয়েশিয়া ৮. ইন্দোনেশিয়া।
২০১৯-২০২২ সালে শ্রীলংকার অর্থনৈতিক সংকট দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকায় চলমান একটি অর্থনৈতিক সংকট, যার কারণে অভূতপূর্ব মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার প্রায় সম্পূর্ণ নিঃশেষ, চিকিৎসা দ্রব্য সরবরাহে ঘাটতি এবং মৌলিক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির মতো ঘটনাগুলির সৃষ্টি হয়েছে। ঐ সমরো ক্ষমতাসীন সরকারের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাকে মূলত এই সংকটের জন্য দায়ী করা হয়েছে। কর হ্রাস, টাকা সৃষ্টি, দেশব্যাপী জৈব পদ্ধতিতে কৃষিকাজ প্রবর্তন ২০১৯ সালের স্টার সানডের বোমা হামলা, করোনাভাইরাসের আঘাত, ইত্যাদি বহুসংখ্যক কারণ মিলে এই সংকটটির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সংকটের কারণে যে অর্থনৈতিক দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়, তার জের ধরে ২০২২ সালে আসে রাষ্ট্রটির ইতিহাসের বৃহত্তম সরকার-বিরোধী আন্দোলন সংঘটিত হয়। শ্রীলংকাকে সার্বভৌম ঋণখেলাপের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে, কেননা ২০২২ সালের মার্চ মাসে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ছিল মাত্র ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার, যা দিয়ে ২০২২ সালে। দেশটির ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্যের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের কোনও সম্ভাবনা নেই। সব মিলিয়ে ২০২২ সালে শ্রীলংকাকে দেশী ও বিদেশী ঋণ মিলিয়ে সব মিলিয়ে ৮৬০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ পরিশোধ করার কথা ছিল। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে শ্রীলংকার সরকার ঋণখেলাপি (দেওলিয়া) হিসেবে নিজেদের ঘোষণা দেয়, যা ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পরে এইরূপ ঋণখেলাপির সর্বপ্রথম ঘটনা। শ্রীলংকার ক্ষুব্ধ জনতা রাজা পাকসে সরকারের পতন ত্বরান্বিত করে।
-Gk Booster
রুশ-ইউক্রেনীয় ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের (ইউএসএসআর) পরে, ইউক্রেন ও রাশিয়া ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিল। ইউক্রেন ১৯৯৪ সালে একটি অ-পারমাণবিক অস্ত্র রাষ্ট্র হিসাবে পারমাণবিক অস্ত্রের অপসারণ সংক্রান্ত চুক্তিতে যোগ দিতে সম্মত হয়েছিল। ইউক্রেনের প্রাক্তন সোভিয়েত পারমাণবিক অস্ত্রসমূহ রাশিয়ায় সরিয়ে ফেলা হয়েছিল এবং নষ্ট করা হয়েছিল। বিনিময়ে, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা আশ্বাসের বুদাপেস্ট মেমোরেন্ডামের মাধ্যমে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা বজায় রাখতে সম্মত হয়েছিল। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত, ২০১৪ সালে যখন রাশিয়া কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দ্বীপটি দখল করে তখন থেকে। ক্রিমিয়া দখলের ফলে জি-৮ জোট থেকে রাশিয়াকে বের করে দেয়। ক্রিমিয়ার পার্লামেন্ট দখলের পর রাশিয়া কর্তৃক আয়োজিত ব্যাপকভাবে সমালোচিত স্থানীয় গণভোটের পর রাশিয়া ক্রিমিয়াকে সংযুক্ত করে, যেখানে স্বায়ত্তশাসিত ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রের জনগণ রুশ ফেডারেশনে যোগদানের পক্ষে ভোট দেয়। উল্লেখ্য যে, ইউক্রেনে পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা যুক্তরাষ্ট্রপন্থী আর পূর্বাঞ্চলীয় ডোনবাস রাশিয়াপন্থী। পুতিন বলেছেন যে উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (ন্যাটো) ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে পূর্ব দিকে সম্প্রসারণ করে রাশিয়ার নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে । তাই ইউক্রেনকে জোটে যোগদানে নিষেধ করে আসছে। সাম্প্রতিক ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিতে চাইলে, রাশিয়া স্বঘোষিত গণপ্রজাতন্ত্রী দোনেৎস্ক ও গণপ্রজাতন্ত্রী লুহানস্কে ২০২২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি স্বীকৃতি দেয়, দোনবাসের দুটি স্ব- ঘোষিত রাষ্ট্র রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত করে। রাশিয়ার কর্তৃক ২০২২ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেন আক্রমণ শুরু হয়। রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেনের দুটি বিদ্রোহী অঞ্চল (ক্রিমিয়া ও দোনবাস) থেকে বহুমুখী আক্রমণ শুরু হয়েছিল। চারটি প্রধান সামরিক আক্রমণের ফ্রন্ট গড়ে উঠেছে: কিয়েভ আক্রমণ, উত্তর-পূর্ব ইউক্রেন আক্রমণ, পূর্ব ইউক্রেন আক্রমণ ও দক্ষিণ ইউক্রেন আক্রমণ। রুশ বাহিনী খারকিড, খেরসন, কিয়েভ, মারিউপোল ও সুমি সহ পূর্বাঞ্চলীয় দোনবাস দখলে রেখেছে।
কাতালুনিয়া দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের রাষ্ট্রে স্পেনে অবস্থিত একটি স্বায়ত্বশাসিত সম্প্রদায় ও ঐতিহাসিক অঞ্চল। হিরোনা, বার্সেলোনা, তারাগোনা এবং ইয়েইদা নামক চারটি প্রদেশ নিয়ে গঠিত। ভূমধ্যসাগরের উপকূলে অবস্থিত বার্সেলোনা কাতালুনিয়ার রাজধানী নগরী। উত্তরে পিরিনীয় পর্বতমালাটি কাতালুনিয়াকে ফ্রান্স থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। কাতালোনিয়ায় স্পেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় একটি স্বশাসিত বর্তমানে অঞ্চলটি স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা দাবি করছে। ১ অক্টোবর, ২০১৭ স্বাধীনতার প্রশ্নে সেখানে একটি বিতর্কিত গণভোট অঞ্চল । রাজধানী বার্সেলোনা। অনুষ্ঠিত হয়। গণভোটের রায় স্বাধীনতার পক্ষে আসলে ২৭ অক্টোবর, ২০১৭ ক্যাটালন পার্লামেন্ট একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। কিন্তু এই ঘোষণা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়।
কুর্দি মধ্যপ্রাচ্যের একটি নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী। কুর্দিস্থান বলতে তুরস্ক, ইরান, ইরাক ও সিরিয়ার কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলকে বোঝায়। ১৯৭০ এর দশকে কুর্দিস্তান এলাকা নিয়ে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কুর্দিরা কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টি (কুর্দি ভাষায়: Partiya Karkeren Kurdistane PKK) গঠন করে।
বুগেনভিল ১৯১৪ সালে রুগেনভিল দখলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় সলোমন দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম দ্বীপ রুগেনভিল। ১৯৭৫ সালে পাপুয়া নিউগিনি অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করলেও ভৌগোলিকভাবে বুগেনভিল পাপুয়া নিউগিনির একটি প্রদেশে পরিণত হয়। বুগেনভিলের রাজধানীর নাম বুকা। ৯ বছরেরও অধিকসময় রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ আর পরবর্তী ধারাবাহিক শাস্তি প্রক্রিয়ার পর ২০০৫ সালে বুগেনভিলে স্বায়ত্তশাসিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। অধিক স্বায়ত্তশাসন নাকি স্বাধীনতা এই প্রশ্নে ২০১৯ সালে বুগেনভিলে গণভোট অনুষ্ঠিত হয় এবং জনগন স্বাধীনতার পক্ষে রায় দেয়।
মিন্দানাও দ্বীপ ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপপুঞ্জের মাঝে অবস্থিত। মিন্দানাওয়ের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল বাংসামরো। এই অঞ্চলের বাসিন্দারা প্রধানত মরো (মুসলিম) জাতির। বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৬ সালে ফিলিপাইন স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পরপরই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে একটি পৃথক ভূখণ্ড গঠনের দাবি করে মরোরা। মূলত, মরোরা লড়াকু আর স্বাধীনচেতা প্রকৃতির। মরোদের দীর্ঘ সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয় Moro Islamic Liberation Front (MILF) এবং Moro National Liberation Front (MNLF) নামক গেরিলা সংগঠন। দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর অবশেষে ২০১৯ সালে এক গণভোটের মাধ্যমে অঞ্চলটিতে স্বায়ত্তশাসন কার্যকর হয়। মরোদের একটির অন্তবর্তীকালীন সরকার অঞ্চলটির দায়িত্বভার গ্রহণ করে তবে কট্টরপন্থী উপগোষ্ঠী আবু সায়েফ (Abu Sayyat) শান্তি প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করে এখনও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
কারেন বিদ্রোহী গোষ্ঠী মায়ানমারের সবচেয়ে প্রাচীন উগ্র গোষ্ঠী। ১৯৪৮ সালে বার্মার স্বাধীনতার পরে কারেন প্রদেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম শুরু করে কারেন বিদ্রোহীরা। পরবর্তীতে তারা স্বাধীনতার দাবি হতে সামান্য সরে গিয়ে স্বায়ত্তশাসনের জন্য সংগ্রাম চলমান রেখেছে।
ত্রিপুরা : ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের একটি গেরিলা সংগঠন NLFT (National Liberation Front of Tripura) আসাম : ভারতের আসাম রাজ্যের একটি গেরিলা সংগঠনের নাম উলফা (ULFA United Liberation Front of Assam) বর্তমানে উলফার প্রধান পরেশ বড়ুয়া। সংগঠনটি আসামের স্বাধীনতা দাবি করে আসছে।
আরও দেখুন...